সরকারি আবাসন অথবা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চার গুণ জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চার গুণ জরিমানা করার।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এ মতবিনিময় সভা হয়।
চার গুণ জরিমানার ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের নিউজবাংলাকে বলেন, স্থানভেদে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়। সাধারণ কোনো স্থাপনাকে যে অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, সেটা সরকারি স্থাপনা হলে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
ডিএসসিসির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদেরকে সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশককর্মীরা যেতে পারেন না, আমাদের কাউন্সিলরদের সেখানে যেতে দেয়া হয় না।
‘ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয়, তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। সে জন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’
এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
বর্তমানে ছাদবাগানের একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘এখন বাসা-বাড়িতে একটি মরা গাছ থাকলেও একটি ফুলের টব থাকে। ফুলের টবে মরা গাছ শোভা পেল, নাকি ফুল শোভা পেল- সেটা বিষয় না। ফুলের টব থাকতেই হবে!
‘আমি মহিলা কাউন্সিলরদের অনুরোধ করব, আপনারা সেসব বাসা-বাড়ির কর্তাকর্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন যেন ফুলের টবে পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন।’
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার বংশ বিস্তারের নানা অনুষঙ্গ এবং তা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম নিয়ে একটি উপস্থাপনা ছিল।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলররা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এবং করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।